This Week's/Trending Posts

Hand-Picked/Curated Posts

Most Popular/Fun & Sports

Hand-Picked/Weekly News

The Most/Recent Articles

POST 22


 আমাদের এই ঘোরাটা ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হয়েছিলো। করোনাকালে কোথাও ঘুরতে যেতে না পারার জন্য আমরা সব বন্ধুরা হাঁপিয়ে উঠেছিলাম । আবার অনেকদিন পর বেড়িয়ে পড়েছিলাম পাহাড়ের উদ্দেশ্যে । আমাদের কোনো প্রোগ্রাম আগে থেকে ঠিক করা ছিলো না । কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না । নিউজলপাইগুড়ি থেকে সোজা গাড়ি ঠিক করে নিয়ে চলে আসলাম দার্জিলিং জেলার ছোটো একটি গ্রাম টংলুতে, একদিন এখানে কাটিয়ে আমরা কমলালেবুর বাগানে ভরা সিটং -এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম । সকাল এগারোটার সময় টুংলু থেকে রওনা দিয়ে চিত্রে ও মানেভঞ্জে হয়ে অনেকটা পথ অতিক্রম করে বেলা আড়াইটার সময় আমরা সিটিং এসে হাজির হলাম । গাড়ির ড্রাইভারের সহযোগিতা না থাকলে আমরা হয়তো সিটিং এসে কোনো থাকার ব্যবস্থা করতে পারতাম না । তার সহোযোগিতায় আমাদের সিটিং জায়গাতে থাকার একটা ভালো ব্যবস্থাই হয়েছিলো । আগে বলে রাখা ভালো যে সিটং – ১, সিটং – ২ ও সিটং – ৩ আছে । আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিলো সিটিং – ২ । হোমস্টের নাম হলো অনুগড় ( Anugarh ) এবং মালকিনের নাম হলো প্রিমিলা মুখিয়া । অতবেলাতে হোমস্টে উপস্থিত হয়েও আমরা গরম গরম ভাতের সাথে ডাল , আলুর চোখা ও ডিমের অমলেট দিয়ে সেদিনের মতো মধ্যাহ্ন ভোজন করেছিলাম। সেদিন বিকেলবেলা পায়ে হাঁটা পথে আশেপাশে ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা নেমে এলো । রাত্রে আহারাদি করে আমরা সবাই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম । কারন আমাদের অনেকটা পথ গাড়িতে আসার জন্য সবার শরীর খুবই ক্লান্ত ছিলো।


পরের দিন সকালবেলা জলখাবার খেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম সিটিং যার জন্য বিখ্যাত সেই কমলালেবুর বাগানের উদ্দেশ্যে । আমার বন্ধুরা সব ঠিক করেছিলাম পায়ে হেঁটে কমলালেবুর বাগানের অভিমুখে যাবো যা কথা তাই আমরা সকলে মিলে করলাম । চল্লিশ মিনিটের মতো পায়ে হাঁটা পথে আমরা এগিয়ে চললাম অরেঞ্জ ভিলার দিকে । যেতে পথে সবুজ বণানী দেখতে দেখতে পথ চলাটা কোনো রকম অসুবিধাই হয়নি । অরেঞ্জ ভিলা ছাড়াও এখানে আরো কয়েকটি কমলালেবুর সুন্দর বাগান আছে ।  অরেঞ্জ ভিলার কমলালেবুর বাগানে প্রবেশ করার পর দারুন একটা সুন্দর অনুভূতি আমাদের সকলের মধ্যে হয়েছিলো । এখানে প্রবেশ করার জন্য মাথা পিছু পঞ্চাশ টাকা হলো প্রবেশ মূল্য । তবে আমাদের এই প্রবেশ মূল্য দিতে হয়নি কারন আমাদের হোমস্টের মালকিনের কোনো আত্মীয়ের এই বাগান ছিলো বলে । অনেকটা সময় এই লেবু বাগানে কাটিয়ে ছিলাম । কিছুতেই এখান থেকে যেতে মন চাইছিলোনা । তারপর লেবু বাগানে প্রবেশ করে গাছের তলা থেকে লেবু কুড়ানোর আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায়না । তবে আমাদের লেবু বাগানে নিষেধ ছিলো গাছ থেকে কোনো লেবু পাড়া যাবেনা । কেউ যদি গাছ থেকে লেবু পারে তবে এখানে তাকে পাঁচশো টাকা জরিমানা করা হয় । এখানে এসে পরিচয় হলো তন্ময় দামের সাথে যিনি এই অরেঞ্জ ভিলাটা নিজের হাথে পরিচালনা করেন । এখানে থাকারও ব্যবস্থা আছে, কমলালেবুর বাগানে থাকার একটা আলাদা মজাও আছে । এখান থেকে বনের পথে ট্রেক করারও ব্যবস্থাও আছে । এখানে অনকটা সময় কাটানোর পর আবার আমরা রওনা দিলাম আমাদের থাকার হোমস্টের দিকে । হাঁটা পথে সবুজ গাছপালা ও চড়াই উৎরাই পথে বেশ ভালো লাগছিলো । এই রকম একটা সবুজ গ্রামকে দেখলে সবারই ভালো লাগে । পথ চলতে চলতে শোনা যাবে অনেক রকম পাখির কলতান।

POST 21


আমাদের এই ঘোরাটা ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হয়েছিলো। করোনাকালে কোথাও ঘুরতে যেতে না পারার জন্য আমরা সব বন্ধুরা হাঁপিয়ে উঠেছিলাম । আবার অনেকদিন পর বেড়িয়ে পড়েছিলাম পাহাড়ের উদ্দেশ্যে । আমাদের কোনো প্রোগ্রাম আগে থেকে ঠিক করা ছিলো না । কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না । নিউজলপাইগুড়ি থেকে সোজা গাড়ি ঠিক করে নিয়ে চলে আসলাম দার্জিলিং জেলার ছোটো একটি গ্রাম টংলুতে, একদিন এখানে কাটিয়ে আমরা কমলালেবুর বাগানে ভরা সিটং -এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম । সকাল এগারোটার সময় টুংলু থেকে রওনা দিয়ে চিত্রে ও মানেভঞ্জে হয়ে অনেকটা পথ অতিক্রম করে বেলা আড়াইটার সময় আমরা সিটিং এসে হাজির হলাম । গাড়ির ড্রাইভারের সহযোগিতা না থাকলে আমরা হয়তো সিটিং এসে কোনো থাকার ব্যবস্থা করতে পারতাম না । তার সহোযোগিতায় আমাদের সিটিং জায়গাতে থাকার একটা ভালো ব্যবস্থাই হয়েছিলো । আগে বলে রাখা ভালো যে সিটং – ১, সিটং – ২ ও সিটং – ৩ আছে । আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিলো সিটিং – ২ । হোমস্টের নাম হলো অনুগড় ( Anugarh ) এবং মালকিনের নাম হলো প্রিমিলা মুখিয়া । অতবেলাতে হোমস্টে উপস্থিত হয়েও আমরা গরম গরম ভাতের সাথে ডাল , আলুর চোখা ও ডিমের অমলেট দিয়ে সেদিনের মতো মধ্যাহ্ন ভোজন করেছিলাম। সেদিন বিকেলবেলা পায়ে হাঁটা পথে আশেপাশে ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা নেমে এলো । রাত্রে আহারাদি করে আমরা সবাই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম । কারন আমাদের অনেকটা পথ গাড়িতে আসার জন্য সবার শরীর খুবই ক্লান্ত ছিলো।

পরের দিন সকালবেলা জলখাবার খেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম সিটিং যার জন্য বিখ্যাত সেই কমলালেবুর বাগানের উদ্দেশ্যে । 

আমার বন্ধুরা সব ঠিক করেছিলাম পায়ে হেঁটে কমলালেবুর বাগানের অভিমুখে যাবো যা কথা তাই আমরা সকলে মিলে করলাম । চল্লিশ মিনিটের মতো পায়ে হাঁটা পথে আমরা এগিয়ে চললাম অরেঞ্জ ভিলার দিকে । যেতে পথে সবুজ বণানী দেখতে দেখতে পথ চলাটা কোনো রকম অসুবিধাই হয়নি । অরেঞ্জ ভিলা ছাড়াও এখানে আরো কয়েকটি কমলালেবুর সুন্দর বাগান আছে ।  অরেঞ্জ ভিলার কমলালেবুর বাগানে প্রবেশ করার পর দারুন একটা সুন্দর অনুভূতি আমাদের সকলের মধ্যে হয়েছিলো । এখানে প্রবেশ করার জন্য মাথা পিছু পঞ্চাশ টাকা হলো প্রবেশ মূল্য । তবে আমাদের এই প্রবেশ মূল্য দিতে হয়নি কারন আমাদের হোমস্টের মালকিনের কোনো আত্মীয়ের এই বাগান ছিলো বলে । অনেকটা সময় এই লেবু বাগানে কাটিয়ে ছিলাম । কিছুতেই এখান থেকে যেতে মন চাইছিলোনা । তারপর লেবু বাগানে প্রবেশ করে গাছের তলা থেকে লেবু কুড়ানোর আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায়না । তবে আমাদের লেবু বাগানে নিষেধ ছিলো গাছ থেকে কোনো লেবু পাড়া যাবেনা । কেউ যদি গাছ থেকে লেবু পারে তবে এখানে তাকে পাঁচশো টাকা জরিমানা করা হয় । এখানে এসে পরিচয় হলো তন্ময় দামের সাথে যিনি এই অরেঞ্জ ভিলাটা নিজের হাথে পরিচালনা করেন । এখানে থাকারও ব্যবস্থা আছে, কমলালেবুর বাগানে থাকার একটা আলাদা মজাও আছে । এখান থেকে বনের পথে ট্রেক করারও ব্যবস্থাও আছে । এখানে অনকটা সময় কাটানোর পর আবার আমরা রওনা দিলাম আমাদের থাকার হোমস্টের দিকে । হাঁটা পথে সবুজ গাছপালা ও চড়াই উৎরাই পথে বেশ ভালো লাগছিলো । এই রকম একটা সবুজ গ্রামকে দেখলে সবারই ভালো লাগে । পথ চলতে চলতে শোনা যাবে অনেক রকম পাখির কলতান। 

POST 20


 আমাদের এই ঘোরাটা ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হয়েছিলো। করোনাকালে কোথাও ঘুরতে যেতে না পারার জন্য আমরা সব বন্ধুরা হাঁপিয়ে উঠেছিলাম । আবার অনেকদিন পর বেড়িয়ে পড়েছিলাম পাহাড়ের উদ্দেশ্যে । আমাদের কোনো প্রোগ্রাম আগে থেকে ঠিক করা ছিলো না । কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না । নিউজলপাইগুড়ি থেকে সোজা গাড়ি ঠিক করে নিয়ে চলে আসলাম দার্জিলিং জেলার ছোটো একটি গ্রাম টংলুতে, একদিন এখানে কাটিয়ে আমরা কমলালেবুর বাগানে ভরা সিটং -এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম । সকাল এগারোটার সময় টুংলু থেকে রওনা দিয়ে চিত্রে ও মানেভঞ্জে হয়ে অনেকটা পথ অতিক্রম করে বেলা আড়াইটার সময় আমরা সিটিং এসে হাজির হলাম । গাড়ির ড্রাইভারের সহযোগিতা না থাকলে আমরা হয়তো সিটিং এসে কোনো থাকার ব্যবস্থা করতে পারতাম না । তার সহোযোগিতায় আমাদের সিটিং জায়গাতে থাকার একটা ভালো ব্যবস্থাই হয়েছিলো । আগে বলে রাখা ভালো যে সিটং – ১, সিটং – ২ ও সিটং – ৩ আছে । আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিলো সিটিং – ২ । হোমস্টের নাম হলো অনুগড় ( Anugarh ) এবং মালকিনের নাম হলো প্রিমিলা মুখিয়া । অতবেলাতে হোমস্টে উপস্থিত হয়েও আমরা গরম গরম ভাতের সাথে ডাল , আলুর চোখা ও ডিমের অমলেট দিয়ে সেদিনের মতো মধ্যাহ্ন ভোজন করেছিলাম। সেদিন বিকেলবেলা পায়ে হাঁটা পথে আশেপাশে ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা নেমে এলো । রাত্রে আহারাদি করে আমরা সবাই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম । কারন আমাদের অনেকটা পথ গাড়িতে আসার জন্য সবার শরীর খুবই ক্লান্ত ছিলো।


পরের দিন সকালবেলা জলখাবার খেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম সিটিং যার জন্য বিখ্যাত সেই কমলালেবুর বাগানের উদ্দেশ্যে । আমার বন্ধুরা সব ঠিক করেছিলাম পায়ে হেঁটে কমলালেবুর বাগানের অভিমুখে যাবো যা কথা তাই আমরা সকলে মিলে করলাম । চল্লিশ মিনিটের মতো পায়ে হাঁটা পথে আমরা এগিয়ে চললাম অরেঞ্জ ভিলার দিকে । যেতে পথে সবুজ বণানী দেখতে দেখতে পথ চলাটা কোনো রকম অসুবিধাই হয়নি । অরেঞ্জ ভিলা ছাড়াও এখানে আরো কয়েকটি কমলালেবুর সুন্দর বাগান আছে ।  অরেঞ্জ ভিলার কমলালেবুর বাগানে প্রবেশ করার পর দারুন একটা সুন্দর অনুভূতি আমাদের সকলের মধ্যে হয়েছিলো । এখানে প্রবেশ করার জন্য মাথা পিছু পঞ্চাশ টাকা হলো প্রবেশ মূল্য । তবে আমাদের এই প্রবেশ মূল্য দিতে হয়নি কারন আমাদের হোমস্টের মালকিনের কোনো আত্মীয়ের এই বাগান ছিলো বলে । অনেকটা সময় এই লেবু বাগানে কাটিয়ে ছিলাম । কিছুতেই এখান থেকে যেতে মন চাইছিলোনা । তারপর লেবু বাগানে প্রবেশ করে গাছের তলা থেকে লেবু কুড়ানোর আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায়না । তবে আমাদের লেবু বাগানে নিষেধ ছিলো গাছ থেকে কোনো লেবু পাড়া যাবেনা । কেউ যদি গাছ থেকে লেবু পারে তবে এখানে তাকে পাঁচশো টাকা জরিমানা করা হয় । এখানে এসে পরিচয় হলো তন্ময় দামের সাথে যিনি এই অরেঞ্জ ভিলাটা নিজের হাথে পরিচালনা করেন । এখানে থাকারও ব্যবস্থা আছে, কমলালেবুর বাগানে থাকার একটা আলাদা মজাও আছে । এখান থেকে বনের পথে ট্রেক করারও ব্যবস্থাও আছে । এখানে অনকটা সময় কাটানোর পর আবার আমরা রওনা দিলাম আমাদের থাকার হোমস্টের দিকে । হাঁটা পথে সবুজ গাছপালা ও চড়াই উৎরাই পথে বেশ ভালো লাগছিলো । এই রকম একটা সবুজ গ্রামকে দেখলে সবারই ভালো লাগে । পথ চলতে চলতে শোনা যাবে অনেক রকম পাখির কলতান।

POST 19


 আমাদের এই ঘোরাটা ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হয়েছিলো। করোনাকালে কোথাও ঘুরতে যেতে না পারার জন্য আমরা সব বন্ধুরা হাঁপিয়ে উঠেছিলাম । আবার অনেকদিন পর বেড়িয়ে পড়েছিলাম পাহাড়ের উদ্দেশ্যে । আমাদের কোনো প্রোগ্রাম আগে থেকে ঠিক করা ছিলো না । কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না । নিউজলপাইগুড়ি থেকে সোজা গাড়ি ঠিক করে নিয়ে চলে আসলাম দার্জিলিং জেলার ছোটো একটি গ্রাম টংলুতে, একদিন এখানে কাটিয়ে আমরা কমলালেবুর বাগানে ভরা সিটং -এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম । সকাল এগারোটার সময় টুংলু থেকে রওনা দিয়ে চিত্রে ও মানেভঞ্জে হয়ে অনেকটা পথ অতিক্রম করে বেলা আড়াইটার সময় আমরা সিটিং এসে হাজির হলাম । গাড়ির ড্রাইভারের সহযোগিতা না থাকলে আমরা হয়তো সিটিং এসে কোনো থাকার ব্যবস্থা করতে পারতাম না । তার সহোযোগিতায় আমাদের সিটিং জায়গাতে থাকার একটা ভালো ব্যবস্থাই হয়েছিলো । আগে বলে রাখা ভালো যে সিটং – ১, সিটং – ২ ও সিটং – ৩ আছে । আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিলো সিটিং – ২ । হোমস্টের নাম হলো অনুগড় ( Anugarh ) এবং মালকিনের নাম হলো প্রিমিলা মুখিয়া । অতবেলাতে হোমস্টে উপস্থিত হয়েও আমরা গরম গরম ভাতের সাথে ডাল , আলুর চোখা ও ডিমের অমলেট দিয়ে সেদিনের মতো মধ্যাহ্ন ভোজন করেছিলাম। সেদিন বিকেলবেলা পায়ে হাঁটা পথে আশেপাশে ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা নেমে এলো । রাত্রে আহারাদি করে আমরা সবাই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম । কারন আমাদের অনেকটা পথ গাড়িতে আসার জন্য সবার শরীর খুবই ক্লান্ত ছিলো।


পরের দিন সকালবেলা জলখাবার খেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম সিটিং যার জন্য বিখ্যাত সেই কমলালেবুর বাগানের উদ্দেশ্যে । আমার বন্ধুরা সব ঠিক করেছিলাম পায়ে হেঁটে কমলালেবুর বাগানের অভিমুখে যাবো যা কথা তাই আমরা সকলে মিলে করলাম । চল্লিশ মিনিটের মতো পায়ে হাঁটা পথে আমরা এগিয়ে চললাম অরেঞ্জ ভিলার দিকে । যেতে পথে সবুজ বণানী দেখতে দেখতে পথ চলাটা কোনো রকম অসুবিধাই হয়নি । অরেঞ্জ ভিলা ছাড়াও এখানে আরো কয়েকটি কমলালেবুর সুন্দর বাগান আছে ।  অরেঞ্জ ভিলার কমলালেবুর বাগানে প্রবেশ করার পর দারুন একটা সুন্দর অনুভূতি আমাদের সকলের মধ্যে হয়েছিলো । এখানে প্রবেশ করার জন্য মাথা পিছু পঞ্চাশ টাকা হলো প্রবেশ মূল্য । তবে আমাদের এই প্রবেশ মূল্য দিতে হয়নি কারন আমাদের হোমস্টের মালকিনের কোনো আত্মীয়ের এই বাগান ছিলো বলে । অনেকটা সময় এই লেবু বাগানে কাটিয়ে ছিলাম । কিছুতেই এখান থেকে যেতে মন চাইছিলোনা । তারপর লেবু বাগানে প্রবেশ করে গাছের তলা থেকে লেবু কুড়ানোর আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায়না । তবে আমাদের লেবু বাগানে নিষেধ ছিলো গাছ থেকে কোনো লেবু পাড়া যাবেনা । কেউ যদি গাছ থেকে লেবু পারে তবে এখানে তাকে পাঁচশো টাকা জরিমানা করা হয় । এখানে এসে পরিচয় হলো তন্ময় দামের সাথে যিনি এই অরেঞ্জ ভিলাটা নিজের হাথে পরিচালনা করেন । এখানে থাকারও ব্যবস্থা আছে, কমলালেবুর বাগানে থাকার একটা আলাদা মজাও আছে । এখান থেকে বনের পথে ট্রেক করারও ব্যবস্থাও আছে । এখানে অনকটা সময় কাটানোর পর আবার আমরা রওনা দিলাম আমাদের থাকার হোমস্টের দিকে । হাঁটা পথে সবুজ গাছপালা ও চড়াই উৎরাই পথে বেশ ভালো লাগছিলো । এই রকম একটা সবুজ গ্রামকে দেখলে সবারই ভালো লাগে । পথ চলতে চলতে শোনা যাবে অনেক রকম পাখির কলতান।

POST 18


 আমাদের এই ঘোরাটা ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হয়েছিলো। করোনাকালে কোথাও ঘুরতে যেতে না পারার জন্য আমরা সব বন্ধুরা হাঁপিয়ে উঠেছিলাম । আবার অনেকদিন পর বেড়িয়ে পড়েছিলাম পাহাড়ের উদ্দেশ্যে । আমাদের কোনো প্রোগ্রাম আগে থেকে ঠিক করা ছিলো না । কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না । নিউজলপাইগুড়ি থেকে সোজা গাড়ি ঠিক করে নিয়ে চলে আসলাম দার্জিলিং জেলার ছোটো একটি গ্রাম টংলুতে, একদিন এখানে কাটিয়ে আমরা কমলালেবুর বাগানে ভরা সিটং -এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম । সকাল এগারোটার সময় টুংলু থেকে রওনা দিয়ে চিত্রে ও মানেভঞ্জে হয়ে অনেকটা পথ অতিক্রম করে বেলা আড়াইটার সময় আমরা সিটিং এসে হাজির হলাম । গাড়ির ড্রাইভারের সহযোগিতা না থাকলে আমরা হয়তো সিটিং এসে কোনো থাকার ব্যবস্থা করতে পারতাম না । তার সহোযোগিতায় আমাদের সিটিং জায়গাতে থাকার একটা ভালো ব্যবস্থাই হয়েছিলো । আগে বলে রাখা ভালো যে সিটং – ১, সিটং – ২ ও সিটং – ৩ আছে । আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিলো সিটিং – ২ । হোমস্টের নাম হলো অনুগড় ( Anugarh ) এবং মালকিনের নাম হলো প্রিমিলা মুখিয়া । অতবেলাতে হোমস্টে উপস্থিত হয়েও আমরা গরম গরম ভাতের সাথে ডাল , আলুর চোখা ও ডিমের অমলেট দিয়ে সেদিনের মতো মধ্যাহ্ন ভোজন করেছিলাম। সেদিন বিকেলবেলা পায়ে হাঁটা পথে আশেপাশে ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা নেমে এলো । রাত্রে আহারাদি করে আমরা সবাই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম । কারন আমাদের অনেকটা পথ গাড়িতে আসার জন্য সবার শরীর খুবই ক্লান্ত ছিলো।


পরের দিন সকালবেলা জলখাবার খেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম সিটিং যার জন্য বিখ্যাত সেই কমলালেবুর বাগানের উদ্দেশ্যে । আমার বন্ধুরা সব ঠিক করেছিলাম পায়ে হেঁটে কমলালেবুর বাগানের অভিমুখে যাবো যা কথা তাই আমরা সকলে মিলে করলাম । চল্লিশ মিনিটের মতো পায়ে হাঁটা পথে আমরা এগিয়ে চললাম অরেঞ্জ ভিলার দিকে । যেতে পথে সবুজ বণানী দেখতে দেখতে পথ চলাটা কোনো রকম অসুবিধাই হয়নি । অরেঞ্জ ভিলা ছাড়াও এখানে আরো কয়েকটি কমলালেবুর সুন্দর বাগান আছে ।  অরেঞ্জ ভিলার কমলালেবুর বাগানে প্রবেশ করার পর দারুন একটা সুন্দর অনুভূতি আমাদের সকলের মধ্যে হয়েছিলো । এখানে প্রবেশ করার জন্য মাথা পিছু পঞ্চাশ টাকা হলো প্রবেশ মূল্য । তবে আমাদের এই প্রবেশ মূল্য দিতে হয়নি কারন আমাদের হোমস্টের মালকিনের কোনো আত্মীয়ের এই বাগান ছিলো বলে । অনেকটা সময় এই লেবু বাগানে কাটিয়ে ছিলাম । কিছুতেই এখান থেকে যেতে মন চাইছিলোনা । তারপর লেবু বাগানে প্রবেশ করে গাছের তলা থেকে লেবু কুড়ানোর আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায়না । তবে আমাদের লেবু বাগানে নিষেধ ছিলো গাছ থেকে কোনো লেবু পাড়া যাবেনা । কেউ যদি গাছ থেকে লেবু পারে তবে এখানে তাকে পাঁচশো টাকা জরিমানা করা হয় । এখানে এসে পরিচয় হলো তন্ময় দামের সাথে যিনি এই অরেঞ্জ ভিলাটা নিজের হাথে পরিচালনা করেন । এখানে থাকারও ব্যবস্থা আছে, কমলালেবুর বাগানে থাকার একটা আলাদা মজাও আছে । এখান থেকে বনের পথে ট্রেক করারও ব্যবস্থাও আছে । এখানে অনকটা সময় কাটানোর পর আবার আমরা রওনা দিলাম আমাদের থাকার হোমস্টের দিকে । হাঁটা পথে সবুজ গাছপালা ও চড়াই উৎরাই পথে বেশ ভালো লাগছিলো । এই রকম একটা সবুজ গ্রামকে দেখলে সবারই ভালো লাগে । পথ চলতে চলতে শোনা যাবে অনেক রকম পাখির কলতান।

POST 17


 আমাদের এই ঘোরাটা ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হয়েছিলো। করোনাকালে কোথাও ঘুরতে যেতে না পারার জন্য আমরা সব বন্ধুরা হাঁপিয়ে উঠেছিলাম । আবার অনেকদিন পর বেড়িয়ে পড়েছিলাম পাহাড়ের উদ্দেশ্যে । আমাদের কোনো প্রোগ্রাম আগে থেকে ঠিক করা ছিলো না । কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না । নিউজলপাইগুড়ি থেকে সোজা গাড়ি ঠিক করে নিয়ে চলে আসলাম দার্জিলিং জেলার ছোটো একটি গ্রাম টংলুতে, একদিন এখানে কাটিয়ে আমরা কমলালেবুর বাগানে ভরা সিটং -এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম । সকাল এগারোটার সময় টুংলু থেকে রওনা দিয়ে চিত্রে ও মানেভঞ্জে হয়ে অনেকটা পথ অতিক্রম করে বেলা আড়াইটার সময় আমরা সিটিং এসে হাজির হলাম । গাড়ির ড্রাইভারের সহযোগিতা না থাকলে আমরা হয়তো সিটিং এসে কোনো থাকার ব্যবস্থা করতে পারতাম না । তার সহোযোগিতায় আমাদের সিটিং জায়গাতে থাকার একটা ভালো ব্যবস্থাই হয়েছিলো । আগে বলে রাখা ভালো যে সিটং – ১, সিটং – ২ ও সিটং – ৩ আছে । আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিলো সিটিং – ২ । হোমস্টের নাম হলো অনুগড় ( Anugarh ) এবং মালকিনের নাম হলো প্রিমিলা মুখিয়া । অতবেলাতে হোমস্টে উপস্থিত হয়েও আমরা গরম গরম ভাতের সাথে ডাল , আলুর চোখা ও ডিমের অমলেট দিয়ে সেদিনের মতো মধ্যাহ্ন ভোজন করেছিলাম। সেদিন বিকেলবেলা পায়ে হাঁটা পথে আশেপাশে ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা নেমে এলো । রাত্রে আহারাদি করে আমরা সবাই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম । কারন আমাদের অনেকটা পথ গাড়িতে আসার জন্য সবার শরীর খুবই ক্লান্ত ছিলো।


পরের দিন সকালবেলা জলখাবার খেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম সিটিং যার জন্য বিখ্যাত সেই কমলালেবুর বাগানের উদ্দেশ্যে । আমার বন্ধুরা সব ঠিক করেছিলাম পায়ে হেঁটে কমলালেবুর বাগানের অভিমুখে যাবো যা কথা তাই আমরা সকলে মিলে করলাম । চল্লিশ মিনিটের মতো পায়ে হাঁটা পথে আমরা এগিয়ে চললাম অরেঞ্জ ভিলার দিকে । যেতে পথে সবুজ বণানী দেখতে দেখতে পথ চলাটা কোনো রকম অসুবিধাই হয়নি । অরেঞ্জ ভিলা ছাড়াও এখানে আরো কয়েকটি কমলালেবুর সুন্দর বাগান আছে ।  অরেঞ্জ ভিলার কমলালেবুর বাগানে প্রবেশ করার পর দারুন একটা সুন্দর অনুভূতি আমাদের সকলের মধ্যে হয়েছিলো । এখানে প্রবেশ করার জন্য মাথা পিছু পঞ্চাশ টাকা হলো প্রবেশ মূল্য । তবে আমাদের এই প্রবেশ মূল্য দিতে হয়নি কারন আমাদের হোমস্টের মালকিনের কোনো আত্মীয়ের এই বাগান ছিলো বলে । অনেকটা সময় এই লেবু বাগানে কাটিয়ে ছিলাম । কিছুতেই এখান থেকে যেতে মন চাইছিলোনা । তারপর লেবু বাগানে প্রবেশ করে গাছের তলা থেকে লেবু কুড়ানোর আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায়না । তবে আমাদের লেবু বাগানে নিষেধ ছিলো গাছ থেকে কোনো লেবু পাড়া যাবেনা । কেউ যদি গাছ থেকে লেবু পারে তবে এখানে তাকে পাঁচশো টাকা জরিমানা করা হয় । এখানে এসে পরিচয় হলো তন্ময় দামের সাথে যিনি এই অরেঞ্জ ভিলাটা নিজের হাথে পরিচালনা করেন । এখানে থাকারও ব্যবস্থা আছে, কমলালেবুর বাগানে থাকার একটা আলাদা মজাও আছে । এখান থেকে বনের পথে ট্রেক করারও ব্যবস্থাও আছে । এখানে অনকটা সময় কাটানোর পর আবার আমরা রওনা দিলাম আমাদের থাকার হোমস্টের দিকে । হাঁটা পথে সবুজ গাছপালা ও চড়াই উৎরাই পথে বেশ ভালো লাগছিলো । এই রকম একটা সবুজ গ্রামকে দেখলে সবারই ভালো লাগে । পথ চলতে চলতে শোনা যাবে অনেক রকম পাখির কলতান।

POST 16


 After living and working in Pakistan, Nepal and Maldives, finally I was in India – the heart of South Asia, a land of captivating contrasts and diversity.  

India is a republic of 1.4 billion people, the largest democracy in the world, and one of the fastest-growing economies, lifting millions out of poverty. It's a place where ancient and modern coexist, where tradition meets innovation. A place where ultramodern highways run alongside traditional farms and where cycle rickshaws share the road with electric vehicles.

Within this landscape of progress, there are stubborn challenges – pockets of deprivation, declining women's labour force participation, and a growing youth population hungry for jobs.

This makes India and its growth story so unique.

I had been waiting for this opportunity – to work with one of the largest UN country teams in the world, lead a diverse portfolio at UNDP, and support India in her incredible journey – embracing its many contrasts as catalysts for progress.

POST 15


 After living and working in Pakistan, Nepal and Maldives, finally I was in India – the heart of South Asia, a land of captivating contrasts and diversity.  

India is a republic of 1.4 billion people, the largest democracy in the world, and one of the fastest-growing economies, lifting millions out of poverty. It's a place where ancient and modern coexist, where tradition meets innovation. A place where ultramodern highways run alongside traditional farms and where cycle rickshaws share the road with electric vehicles.

Within this landscape of progress, there are stubborn challenges – pockets of deprivation, declining women's labour force participation, and a growing youth population hungry for jobs.

This makes India and its growth story so unique.

I had been waiting for this opportunity – to work with one of the largest UN country teams in the world, lead a diverse portfolio at UNDP, and support India in her incredible journey – embracing its many contrasts as catalysts for progress.

POST 14


 After living and working in Pakistan, Nepal and Maldives, finally I was in India – the heart of South Asia, a land of captivating contrasts and diversity.  

India is a republic of 1.4 billion people, the largest democracy in the world, and one of the fastest-growing economies, lifting millions out of poverty. It's a place where ancient and modern coexist, where tradition meets innovation. A place where ultramodern highways run alongside traditional farms and where cycle rickshaws share the road with electric vehicles.

Within this landscape of progress, there are stubborn challenges – pockets of deprivation, declining women's labour force participation, and a growing youth population hungry for jobs.

This makes India and its growth story so unique.

I had been waiting for this opportunity – to work with one of the largest UN country teams in the world, lead a diverse portfolio at UNDP, and support India in her incredible journey – embracing its many contrasts as catalysts for progress.

POST 13


 After living and working in Pakistan, Nepal and Maldives, finally I was in India – the heart of South Asia, a land of captivating contrasts and diversity.  

India is a republic of 1.4 billion people, the largest democracy in the world, and one of the fastest-growing economies, lifting millions out of poverty. It's a place where ancient and modern coexist, where tradition meets innovation. A place where ultramodern highways run alongside traditional farms and where cycle rickshaws share the road with electric vehicles.

Within this landscape of progress, there are stubborn challenges – pockets of deprivation, declining women's labour force participation, and a growing youth population hungry for jobs.

This makes India and its growth story so unique.

I had been waiting for this opportunity – to work with one of the largest UN country teams in the world, lead a diverse portfolio at UNDP, and support India in her incredible journey – embracing its many contrasts as catalysts for progress.